
দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো মাদকের কুফল ফলাও করে তুলে ধরছে। কিন্তু মাদক থেকে সুস্থ হওয়ার গল্পগুলো সেভাবে প্রচার করা হচ্ছে না। ইতিবাচক এসব গল্প সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাদকাসক্তি চিকিত্সা ও পুর্নবাসনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক একটি অধিপরামর্শ সভায় আলোচকেরা এমন মন্তব্য করেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গত শনিবার বিএআরএসিএ–এসডিডিবি প্রকল্প এই সভা আয়োজন করে।
কারিতাস বাংলাদেশের পরিচালক (প্রোগ্রাম) জেমস গমেজের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিত্সা ও পুনর্বাসন) মাসুদ হোসেন। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএআরএসিএ–এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বিনয় ষ্টিফেন গোমেজ, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নির্মল ফ্রান্সিস গোমেজ। সভায় মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরেন বিএআরএসিএ–এর কর্মী অতনু বড়ুয়া।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ১৮টি মাদকাসক্ত চিকিত্সা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের মোট ১৮ জন প্রতিনিধি সভায় অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ হোসেন বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে অধিদপ্তর আগের তুলনায় আরো গতিশীলভাবে কাজ শুরু করেছে। তবে চিকিত্সা বিষয়ক কাজের ক্ষেত্রে অধিদপ্তর পিছিয়ে আছে। এ বিষয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে মাদকসক্তি চিকিত্সাকে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের রয়েছে।
বক্তাদের মতে, মাদকাসক্তির চিকিত্সা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠান ও কর্মীরা কখনো কখনো অপরাধী হিসাবে গণ্য হয়ে পড়েন। এ ছাড়াও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলো সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদ সমাজে ভুল ধারনা তৈরি করে। চিকিত্সা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মানও উন্নত হওয়া দরকার। এক্ষেত্রে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে এগিয়ে আসতে হবে।

0 মন্তব্যসমূহ